দূর থেকে দেখলাম একটি দুর্লভ হলদে বক। পাশে আরো কয়েকটি গোবক, কানিবকও ছিলো। আমার আগ্রহ ছিলো হলুদ বকটির ছবি নেয়ার। খুব সন্তর্পণে পা টিপে টিপে নিজেকে যথাসম্ভব হাইড করে বকগুলোর কাছে এগোতে লাগলাম। কিছুটা কাছাকাছি যাওয়ার পর অন্য বকগুলো একে একে উড়ে গেলেও হলদে বকটি গেলো না। একটু খটকা লাগলো, ব্যাপার কি? আরো একটু কাছে গিয়ে ব্যাপারটা বুঝলাম— বকটি জেলেদের পেতে রাখা চায়না দূয়ারী জালে আটকা পড়েছে।
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে মৎস্য শিকারের জন্য নতুন এক ধরণের জালের ব্যবহার ক্রমেই বাড়ছে, যা নিষিদ্ধ কারেন্ট জালের মত মিহি ও হালকা, এবং এই জাল একেবারে সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্মভাবে মাছ ধরতে সক্ষম। জালটি অচিরেই দেশী মাছকে নির্বংশ করে ফেলবে। এটিকে জাল হিসেবে বর্ণনা করা হলেও মৎস্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে চায়না দুয়ারী মূলত মাছ ধরার এক ধরণের ফাঁদ। এই জালের বুননে একটি গিঁঠ থেকে আরেকটি গিঁঠের দূরত্ব খুব কম, যে কারণে এতে মাছ বা জলজ প্রাণী একবার ঢুকলে আর বের হতে পারে না। এটি চায়না জাল, ম্যাজিক জাল এবং ঢলুক জাল নামেও পরিচিত।
এই জাল শুধু মাছ নয়— পাখি, সাপ, কুঁচে, ব্যাঙ সহ প্রায় সব ধরণের প্রাণীর জন্য হুমকী। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ— কথিত মাছ ধরার এই ফাঁদকে নিষিদ্ধ এবং এর ব্যবহারের উপর ব্যবস্থা নেয়া হোক।
0 মন্তব্য(গুলি):