ফাঁস হওয়া ভিডিওতে প্রধানমন্ত্রী ও তার বন্ধুদের নাচতে ও গাইতে দেখা গেছে। তাদের মধ্যে ফিনিশ সেলিব্রেটিরাও রয়েছেন।
ভিডিও ফাঁসের পর সমালোচনার মুখে পড়েছেন সান্না মারিন।
এরই মধ্যে বিরোধীদলীয় নেতা রিক্কা পুররা প্রধানমন্ত্রীর মাদকাসক্তি বিষয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে তার ড্রাগ টেস্টের দাবি জানিয়েছেন।
একসময় মারিনের হয়ে কোয়ালিশন সরকারে কাজ করা পার্লামেন্ট সদস্য মিক্কো কারনাও বলেছেন, এটি বুদ্ধিমানের কাজ হবে যদি মারিন নিজে থেকে ড্রাগ টেস্ট করতে যায়।
তবে ৩৬ বছর বয়সী প্রধানমন্ত্রী সান্না মারিন মাদকাসক্তির বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। মারিনের দাবি, তিনি শুধু মদ পান করেছিলেন এবং হইচই করে পার্টি উদযাপন করেছিলেন।
বৃহস্পতিবার দেয়া এক বার্তায় তিনি বলেছেন, তিনি জানতেন যে ভিডিও ধারণ করা হচ্ছে এবং তিনি উদ্বিগ্ন ছিলেন যে ভিডিও জনসমক্ষে প্রকাশ পেতে পারে।
মারিন বলেন, ‘আমি নেচেছি, গেয়েছি, পার্টি করেছি। এগুলো সবই বৈধ এবং আমি কখনই কোনো ড্রাগ সেবন করিনি। আমার পারিবারিক জীবন আছে। আমার কাজ আছে এবং অবসর সময়ও আছে। আমার বয়সী মানুষেরা যেভাবে বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটায়, আমিও একইভাবে সময় কাটাই।’
তবে একই সঙ্গে মারিন জানিয়েছেন, টেস্ট করতে তার কোনো আপত্তি নেই এবং তিনি তার ব্যবহার, চালচলন পরিবর্তন করতেও রাজি নন।
মারিন আশা করেন, সবাই এটি স্বাভাবিকভাবেই নেবে।
বর্তমান বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ রাষ্ট্রপ্রধান এবারই প্রথম বিতর্কের জন্ম দেননি তিনি। গত বছর কোভিড আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার পরেও তিনি ক্লাবে গিয়েছিলেন। পরে এই জন্য তিনি ক্ষমাও চান।
গত সপ্তাহে জার্মান নিউজ আউটলেট বিল্ড তাকে এই পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো প্রধানমন্ত্রী আখ্যা দিয়েছে।
0 মন্তব্য(গুলি):