হাওয়া মূলত একটা রিভেঞ্জের গল্প। প্লট সাজানো হয়েছে মিথ, দ্যা রাইম অভ দ্যা এনশিয়েন্ট মেরিনার আর প্যাট্রিয়ার্কাল সোসাইটিতে নারীকে ভোগ্য বস্তু হিসেবে দেখার ব্যাপারটিকে উপজীব্য করে। এ ব্যাপারগুলোকে সংসক্তভাবে দেশীয় প্রেক্ষাপটে স্থাপনের উপর সবকিছু নির্ভর করছিলো বলা চলে। সেটা মেজবাউর রহমান সুমন করতে পেরেছেন কৃতিত্বের সাথে। একবারও কিছু মেকি মনে হয়নি।
মিথের ব্যাপারে একদম শুরুতেই ইঙ্গিত করা হয়েছে। বলা হয়েছে 'দরিয়ায় কোন সাইন্স খাটে না'। আর মিথের ঘটনার আবহ সৃষ্টিতেও 'হাওয়া' দেখিয়েছে নৈপুণ্য। সিনেম্যাটোগ্রাফি, ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক যথার্থভাবে ব্যবহৃত হয়েছে। শুরুতে কয়েকটি দৃশ্যকে অতিরিক্ত সিনেম্যাটিক মনে হলেও শেষে গিয়ে ওগুলোর ব্যবহার জাস্টিফাইড লেগেছে।
কাস্টের সবার অভিনয় একটা নির্দিষ্ট লেভেলে ছিলো। কেউ কারো চেয়ে কম না। চঞ্চল চৌধুরীর চান মাঝি খানিকটা এগিয়ে থাকবে পার্ফম্যান্সের দিক থেকে। মানুষ যে দুনিয়ার সবচেয়ে হিংস্র জন্তু, দেশীয় সিনেমায় সেটির উপস্থাপন দেখে ভালো লেগেছে। ওভারঅল, ডিসেন্ট একটা এক্সপেরিয়েন্স। পয়সা উসুল হয়েছে ভালোভাবে। অতিরঞ্জিত হাস্যরসের যোগান দিতে না চাওয়ার জন্য এক্সট্রা পয়েন্ট থাকবে।
পরিচালকের পরের সিনেমাও আসবে শীঘ্রই। যেখানে ওনার ফিল্মোগ্রাফির ইউজুয়াল সাসপেক্ট জয়া আহসানকে দেখা যাবে। আই হোপ হি কন্টিনিউস। বেশ উপভোগ করেছি। হলের দর্শকরাও ছিলেন ভালো।
সিনেমা রিভিউ লিখেছেন: মাহিম
0 মন্তব্য(গুলি):