বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৩

ঝিনাই নদীতে বিলীন পাকা সড়ক ভোগান্তি চরমে

মো. রুবেল আহমেদ

সাত বছরের বেশি সময় ধরে ঝিনাই নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে টাঙ্গাইলের গোপালপুরের হেমনগর ইউনিয়নের বেলুয়া থেকে আলমনগর, ফলদা ও মির্জাপুর ইউনিয়নকে সংযুক্ত করা পাকা রাস্তাটি। বেলুয়া হাঁটের পূর্বপাশ ঘেঁষে বড় কুমুল্লী পর্যন্ত আনুমানিক আধা কিলোমিটার পাকা রাস্তা সম্পূর্ণ ভেঙ্গে নদীতে নেমে যাওয়ায় অহরহ ঘটছে হতাহতের ঘটনা। চলছে না এম্বুলেন্সসহ কোনো গাড়ি, এতে বিপাকে পড়েছে মাদারজানি-কুমুল্লী গ্রামের হাজারো কৃষক, কোমলমতি শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা। 


দুই দপ্তরের রশি টানাটানিতে দীর্ঘ দিনেও কাজটি সম্পন্ন করা যায়নি, এখন কাজটি এলজিইডি করতে রাজি হয়েছে শীঘ্রই টেন্ডার হবে জানান আলমনগর ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আ. মোমেন। জনপ্রতিনিধিরা সভা সমাবেশে বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও দীর্ঘদিনেও রাস্তাটি সংস্কার না করায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন অটোরিকশা চালক আ. রহিম ।


বড় কুমুল্লী গ্রামের বাসিন্দা জয়নাল আবেদীন বলেন, ঝুঁকি নিয়ে চলাচলে বিভিন্ন সময়ে বিয়ের গাড়ি, সারের গাড়ি, সিমেন্টের গাড়ি, কৃষি পন্যেসহ অন্তত দশটি গাড়ি নদীতে পড়তে দেখেছি। এতে হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে আর এখনতো কোথাও কোথাও পায়ে হাঁটার রাস্তাটুকুও অবশিষ্ট নেই।


প্রভাষক রকিব উদ্দিন আতিক জানান, এম্বুলেন্সসহ যেকোন গাড়ি নিয়ে আলমনগরের দিকে যেতে রাস্তায় থাকে হাঁটু পর্যন্ত কাঁদা, বেলুয়ার দিক দিয়ে যাওয়ার উপায় নেই। মাদারজানি-কুমুল্লী গ্রামের অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের ঝুঁকি নিয়ে বেলুয়া বাজারের পাশে স্কুলে যেতে হয় । ধান, পাটসহ অন্যান্য কৃষি পন্যেসহ হাঁটে নিতে ভোগান্তির সীমা নেই। এখন শুধু রাস্তার পাশ দিয়ে সাইকেল নিয়ে যাওয়া আসা যায়, এবরোথেবরো হওয়ায় এতেও ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে বারবার দরখাস্ত দিয়েও প্রতিকার মেলেনি। 


অটোরিকশা চালক মো. আব্দুর রহিম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অটোরিকশা চালিয়ে সংসার চালাতে হয়, রাস্তা না থাকায় চরম ভোগান্তিতে আছি। সাত বছরের বেশি সময় ধরে রোগী হাসপাতালে ও ধান,পাট হাঁটে নিতে চরম ভোগান্তি পোহাতে দেখেছি মানুষকে।জনপ্রতিনিধিরা সভা সমাবেশে বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও দীর্ঘদিনেও রাস্তাটি সংস্কার না করায় চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।


উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও আলমনগর ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মোমেন বলেন, ওয়াপদা ও এলজিইডির টানাটানিতে এতো দেরি হয়েছে। এখন এলজিইডি রাজী হয়েছে ব্লক ফেলে নদী শাসন করে রাস্তাটি সংস্কার করা হবে। খুব দ্রুতই টেন্ডার হয়ে যাবে। এই রাস্তার জন্য এলাকার মানুষ আমাদের বিভিন্ন কটু কথা বলে। আসলে আমাদের চেষ্টার ঘাটতি নেই প্রক্রিয়াটা অনেক জটিল।


ইউএনও আসফিয়া সিরাত বলেন, বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হবে।


SHARE THIS

Author:

সঠিক তথ্য পেতে সবসময় সমাবেশ ডটকমের সাথে থাকুন।

0 মন্তব্য(গুলি):