বংশানুক্রমিক চুল পড়ার ক্ষেত্রে খুব বেশি কিছু করার থাকে না। অ্যালোপেশিয়া এরিয়াটার মতো অটোইমিউন ডিসঅর্ডার থাকলে ডাক্তারের পরামর্শমতো চিকিৎসা করালে চুল পড়া বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা কমে আসতে পারে।
থাইরয়েডের সমস্যা থাকলেও চুল পড়ে যায়। সোরিয়াসিস বা ক্রনিক পেট খারাপের সমস্যা থাকলেও চুল পড়তে পারে।
তবে ওপরের সমস্যাগুলো না থাকার পরেও যদি আপনার চুল পড়ে তাহলে এই টিপসগুলো ট্রাই করতে পারেন।
১. নারকেলের দুধ ও তেল
নারকেলে আছে ফ্যাট। এটা চুলের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। নিয়মিত এই তেল দিয়ে ম্যাসাজ করলে চুল পুষ্টি পাবে এবং চুল পড়া বন্ধ করবে। খুব জোরে ঘষলে বেশি চুল পড়ার আশঙ্কা থাকে। কোরা বা বাটা নারকেল গরম পানিতে ভিজিয়ে দুধ বের করে মাথায় লাগিয়ে আধ ঘণ্টা রাখুন। চুলের স্বাস্থ্য বাড়াতে যে প্রোটিন আর পটাশিয়াম একান্ত প্রয়োজন, তারই জোগান দেবে নারকেলের দুধ। সপ্তাহে এক দিন ব্যবহার করলেই চলবে।
২. অ্যালোভেরা জেল
চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিন। তারপর অ্যালোভেরার জেল চুলের গায়ে লাগান। তালুতে চক্রাকারে হাত ঘুরিয়ে মালিশ করুন। সপ্তাহে দুইবার করলে চুল পড়া বন্ধা করার জন্য ভালো ফল পাবেন। এর ফলে চুল আর তালুর পিএইচ ব্যালান্সে সমতা ফিরবে। চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।
৩. দই, মধু ও লেবুর প্যাক
চুলের হারিয়ে যাওয়া আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনতে এবং ভিটামিন বি ও প্রোটিনের জোগান বাড়াতে দই, লেবু, মধুর প্যাক আদর্শ। সপ্তাহে একবার শ্যাম্পু করার আগে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে চুল ধুয়ে নেবেন।
৪. মেথি
সারা রাত মেথি ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে ব্লেন্ডারে পেস্ট করে নিন। প্যাকের মতো এটা সরাসরি চুলে লাগাতে পারেন। দই-মধুর সঙ্গে মিশিয়েও লাগানো সম্ভব। শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু করে নিন।
৫. নিমপাতার নির্যাস
এক লিটার পানিতে ১৫-২০টা নিমপাতা খুব ভালো করে ফুটিয়ে নিন। মিশ্রণটা ঠাণ্ডা করে বোতলে ভরে রেখে দিন। সপ্তাহে অন্তত একবার শ্যাম্পু করার পর এই নিমের পানিতে চুল ধুয়ে নিন। তালুতে ইনফেকশন, খুশকি অথবা অন্য সমস্যা থাকলে নিমের প্রভাবে তা থেকে মুক্তি পাবেন। ফলে চুলের গোরা শক্ত হবে। চুল পড়ার হার কমবে।
0 মন্তব্য(গুলি):