মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ, ২০২৪

যমুনা নদী চরের মানুষের জীবনমান নিয়ে আন্তর্জাতিক গবেষণাপত্র

মো. রুবেল আহমেদ 

সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. আহমেদ হোসেন এর নেতৃত্বে টাঙ্গাইলের যমুনা চরের মানুষের জীবনমান, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, জীবিকা, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবা চ্যালেঞ্জ নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক গবেষণাপত্র, সম্প্রতি বিশ্ববিখ্যাত প্লোস ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। ভুঞাপুরের শুশুয়া গ্রামকে একটি মডেল গ্রাম হিসাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে, ২০২৩ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারী থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ভুঞাপুর ও গোপালপুর উপজেলার চরাঞ্চলে ৪৪২টি পরিবারের ২৯২১জন মানুষের উপর একটি আন্তর্জাতিক জরিপ পরিচালনা করা হয়। আমেরিকাভিত্তিক বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা হিউম্যান কনসার্ন ইন্টারন্যাশনালের সহযোগিতায় জরিপে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করেন আনিকা তাসনীম চৌধুরী, মাসুম মাহবুব, মাহমুদা খান, তাইফুর রহমান, আজাজ বিন শরীফ, হেবা হিজাজী, মোহাম্মদ আলমেদ্দীন।

গবেষণায় উঠে এসেছে, নদী ভাঙ্গনের কারণে কিভাবে চরাঞ্চলে মানুষের, প্রতিনিয়ত বাসস্থানের পরিবর্তন করতে হয়। শিক্ষা ব্যবস্থা এবং সমতলে দ্রুত চলাচল করতে না পারায় ৩৯শতাংশ মানুষ এখনো কবিরাজী ও হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার উপর নির্ভরশীল। বন্যা ও দুর্যোগের সময় এর সংখ্যা আরো বাড়ে। প্রায় ৮০শতাংশ গর্ভবতী নারীর সন্তান বাড়িতেই প্রসব করাতে হয়। এতে ৬শতাংশ পর্যন্ত গর্ভপাত ও শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

গবেষকরা মনে করেন, বন্যা ও নদীভাঙনের নেতিবাচক প্রভাবরোধে এখানে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) সহযোগিতা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, চাকরির সুযোগ এবং বাড়ি পুনঃনির্মাণের জন্য আর্থিক সহায়তা বাড়ানো উচিত।

এ বিষয়ে হিউম্যান কনসার্ন ইউএসএ'র চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার মাসুম মাহবুবুর রহমান জানান, চরাঞ্চলের মানুষের বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা সহ তাদের জীবনমান উন্নয়নে, পাইলট প্রকল্প হিসাবে শুশুয়া চরকে মডেল গ্রাম হিসাবে গড়ে তোলার সব রকমের প্রচেষ্টা চলমান। শীঘ্রই এখানে কার্যক্রম শুরু করার পরিকল্পনা; আমেরিকান ভিত্তিক বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা হিউম্যান কনসার্ন ইন্টারন্যাশনাল ও শুশুয়া ভিল এর রয়েছে।


SHARE THIS

Author:

সঠিক তথ্য পেতে সবসময় সমাবেশ ডটকমের সাথে থাকুন।

0 মন্তব্য(গুলি):