মো. রুবেল আহমেদ
বিস্তীর্ণ মাঠে শোভা ছড়ানো বোরো মৌসুমে উৎপাদিত, পাকা ধান উৎসবমুখর পরিবেশে ঘরে তুলতে কৃষকের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে দেয় শ্রমিক সংকট। তীব্র তাপদাহ, ঝড়-বৃষ্টির সময় ধান কাটার শ্রমিক সংকট দেখা দিলে; যেমন বেড়ে যায় শ্রমের মূল্য। তেমনি নষ্ট হয় পাকা ধান ও গোখাদ্যের খড়। এসব সমস্যার সমাধানে কম্বাইন হার্ভেস্টার কৃষকের জন্য আশির্বাদ হয়ে উঠছে। সরকারিভাবে ভর্তুকি মূল্যে বিতরণ করায়, টাঙ্গাইলের গোপালপুরে ধান কাটার মেশিন কম্বাইন হার্ভেস্টারের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের বলে জানান কৃষি বিভাগ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একটি ধান কাটার মেশিন ২৪ঘন্টায় চার থেকে পাঁচশ বিঘা জমির ধান কাটতে সক্ষম। ডিজেল খরচ হয় মাত্র ১৪-১৫লিটার । কম্বাইন হার্ভেস্টার দ্রুত ধান কেটে, মাড়াই করে একবারে বস্তায় তুলে দেওয়ায় সাশ্রয় হচ্ছে কর্মঘন্টা। এতে কৃষকদের মুখে ফুটেছে হাসি।
নবগ্রামের কৃষক মো. দুলাল মিয়া বলেন, মেশিনে ধান কাটায় কিছুটা ধান-খড় নষ্ট হলেও এটাই সাশ্রয়ী। একদিকে বৃষ্টি মৌসুমে, এসময় কামলা(শ্রমিক) পাওয়া যায়না, অথচ মেশিনে মুহূর্তেই ধান কেটে দিলো।
হেলেন্চা বিলে ধান কাটতে আসা কম্বাইন হার্ভেস্টারের চালক আ. ছালাম বলেন, আমার মালিকের দুটি মেশিন নিয়ে কুমিল্লা থেকে আমরা এখানে এসেছি। ৭৫টাকা শতাংশ ধান কাটায় কৃষকের ব্যাপক আগ্রহ দেখেছি।আমার মালিক সরকারিভাবে ভর্তুকি মূল্যে মেশিন কিনেছে, কুমিল্লায় ধান কাটা শেষে আমরা এখানে এসেছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামীমা আক্তার বলেন, দ্রুত ধান কাটার ফলে কম্বাইন হার্ভেস্টারের প্রতি কৃষকের দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে। শ্রমিক দিয়ে ১বিঘা জমির ধান কাটতে ৫হাজার টাকার উপরে খরচ হয়, কম্বাইন হার্ভেস্টারে ২৫০০টাকা খরচ হয় বিঘাপ্রতি। ২০২৩-২৪ সালে আমরা ভর্তুকি মূল্যে ১১টি কম্বাইন হার্ভেস্টার বিতরণ করেছি। মৌসুমের আগে প্রকল্প থেকে সার্কুলার হলে। কৃষকের আবেদনের প্রেক্ষিতে ইউএনও মহোদয়ে সাক্ষরে আবেদন পাঠাই। প্রকল্প থেকে অনুমোদন হয়ে আসলে ভর্তুকি মূল্যে কম্বাইন হার্ভেস্টার দেয়া হয়।
0 মন্তব্য(গুলি):